জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. আশরাফ আলী খান খসরু এম.পি । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দে, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাহাবউদ্দিন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হুমায়ুন কবীর। শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আহ্সান উল্লাহ রাসেল।এছাড়া সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নজরুল গবেষকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং অতিথিবৃন্দ বিকাল ৪টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।পরে, চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য ও প্রতিমন্ত্রী। এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে দুইশতাধিক ছবি।আলোচনাসভা শেষে ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি নজরুলের গান, কবিতা, নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগের পরিবেশনায় নাটক পরিবেশিত হয়।
২য় দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নজরুল গবেষকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে সম্মানিত গেস্ট অব অনার হিসেবে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এম.পি, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী এম.পি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান।সন্ধ্যায় ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার এবং বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।