জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে ছিলেন- বাংলাদেশ ও ভারত বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদ এর ডীন , বিভাগীয় প্রধান, হলের প্রভোস্টগণ, প্রক্তর, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ ও শিক্ষার্থীরা উপ্তহিত ছিলেন।আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ই আগস্ট শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় । আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো এত গান রচনা করেছেন বিশ্বে এমন আর কোনো কবি আছে বলে আমার জানা নেই। কবি নজরুল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন কিন্তু তার লেখাকে কখনও অনুসরণ করেননি। কবি নজরুল ছিলেন একজন স্বতন্ত্র কবি। আমি কবি নজরুলের লেখা যতই পড়ি ততোই তার প্রেমে পড়ি। আমার মহান প্রতিষ্ঠান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ হতে কবি নজরুলের বিদেহী আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা”। স্মারক বক্তা ছিলেন- বাংলাদেশ ও ভারত বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হুমায়ুন কবীর। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’র পক্ষে ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ১৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির পরিবারের সদস্যদের নামে প্রবর্তিত অনুষদভিত্তিক এ বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো হলো ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ‘বুলবুল বৃত্তি’, কলা অনুষদে ‘প্রমীলা বৃত্তি’, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে ‘কাজী সব্যসাচী বৃত্তি’ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ‘কাজী অনিরুদ্ধ বৃত্তি’।বৃত্তি প্রাপ্তরা হলেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সায়মা হক, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ফাতিমা সাকি, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের কাজী রায়হান রাহমাতুল্লাহ্ ও আয়শা সিদ্দিকা। কলা অনুষদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অনিতা রানী পাল, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আবির হোসেন খান, চারুকলা বিভাগের বাচ্চু মিয়া, সংগীত বিভাগের নয়ন চন্দ্র সরকার ও সেতু হালদার, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিলকিস। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহনুমা রহমান রিন্তী। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগের মোফরেজা আক্তার জয়া, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের তানজিল আহমেদ। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক ও সনদ প্রদান করা হয়।