নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

মাঘ মাসের শীতের সকাল। প্রকৃতিতে শীতল বাতাস হলেও আকাশে ছিল রোদের লুকোচির খেলা। সজীব সতেজ মনোরম পরিবশে। সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত-অনুরাগী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। নতুন রঙিন পোশাক পরিধান করে দল বেঁধে সকলে এসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে। কারণ আজ সরস্বতী পূজা। বিদ্যার দেবী সরস্বতী। তাই শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থীদের কাছে এ পূজার আবেদন আরও অন্যরকম।

বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আরতি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। পূজা উপলক্ষ্যে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাত থেকেই শুরু হয় পূজার কার্যক্রম। ঢাকের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় হয় প্রতিমা স্থাপন। আজ সকাল ৯টায় পূজারাম্ভ হয়ে সকাল ১১ টায় পুষ্পাঞ্জলি করা হয়। দুপুর ১২ টায় হয় প্রসাদ বিতরণ। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮টায় আরতি প্রতিযোগিতা ও রাত ৯ টায় পুরষ্কার বিতরণ করা হবে।

দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্দিরে সনাতন সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রফেসর ড. সোহেল রানা, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জীসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা ।

কেন্দ্রীয় পূজার বানী অর্চনা অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড . মো. হুমায়ুন কবীর বলেন , বাংলাদেশ একটি সাম্প্রায়িক সম্প্রিতীর দেশ । এখানে যে যার ধর্ম পালন করলেও উৎসব একসাথে উদযাপন করেন । সরস্বতী পূজায় শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থীরাই নয় অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীরাও এই সার্বজনীন উৎসবে শামীল হন।

কেন্দ্রীয় মন্ডপ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ ও হলের উদ্যোগেও পূজা উদযাপন করা হয়। সারাদিনে আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শনার্থীরা এসব পূজামণ্ডপ ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন।