জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশাল মুক্ত দিবস পালন

৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। সেদিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ত্রিশাল উপজেলা মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।সকাল সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সোয়া সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ‘চির উন্নত মম শির’-এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।কর্মসূচিগুলোতে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. তুহিনুর রহমানসহ অন্যরা।কর্মসূচি শেষে এক তাৎক্ষণিক বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ত্রিশালের মানুষ সব সময় বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের স্বপক্ষে অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে তারাও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই অঞ্চলকে মুক্ত করার জন্য ঘরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর আসার আগেই ত্রিশালকে তারা মুক্ত করেছিলেন। এই মুক্তি সম্ভব হয়েছিল ত্রিশালবাসীর অকুতোভয় মানসিকতা ও সংগ্রামশীলতার মধ্য দিয়ে।সশস্ত্র লড়াইয়ের আগে থেকেই ত্রিশালের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে নানা আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন মন্তব্য করে উপাচার্য আরও বলেন, আমি ত্রিশাল বাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি, ত্রিশালবাসীর প্রতি কুর্নিশ জানাই। ত্রিশালবাসী সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করেছে। এই খানের গ্রামঞ্চল, নিম্ন জলাভূমি অঞ্চল তাদের মধ্যে যে চেতনা সেটি মুক্তি সংগ্রামের চেতনা। ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, কাজী নজরুল ইসলামকে এই অঞ্চলের মানুষ বুকে ধারণ করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মুক্তি ও সংগ্রামের আরেকজন অগ্রদূত। এটিও আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা আরও গর্বিত হই যে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন ত্রিশালেই। ফলে ত্রিশালের মানুষের গর্ব করার মতো অনেক আছে। আমরাও ত্রিশালের মানুষকে নিয়ে গর্ব করি।মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের সোনালী সন্তান হিসেবে আখ্যা দিয়ে উপাচার্য দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য যারা লড়াই করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, সম্ভ্রম দিয়েছেন সেসব শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ ও বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নজরুলের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ছাড়াও দিবসটিকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল, দোলন-চাঁপা হল, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মানববিদ্যা গবষণাপত্র

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে ‘Annual Performance Agreement: Implementation and Challenges’ ও ‘National Integrity Strategy’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ।