শুদ্ধাচার সংক্রান্ত কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভা

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা (এপিএ) র‌্যাংকিংয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ধরে রেখে সেটিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যার যার দায়িত্ব থেকে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পুনরায় আহবান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেছেন, অন্যরা আমাদের প্রতিযোগী হয়ে উঠছে। তাই ইউজিসি র‌্যাংকিংয়ে আমাদেরকে আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে হবে। এখান থেকে নামার কোন সুযোগ নাই।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুদ্ধাচার কমিটি আয়োজিত সভাটি বাস্তাবায়ন করে আইকিউএসি।
সভায় উপস্থিত অংশীজনদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা যুক্ত তাদের কিন্তু দায়িত্বশীলতা অনেক বেশি। আপনারে ভাবতে হবে এটি আপনাদের রিজিক, আপনার পেশা, এটা দিয়ে আপনরা জীবন চলে, সংসার চলে। আপনি পেশার প্রতি অনুগত থাকবেন নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্ককে গুরুত্ব দিবেন সেটি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। ইউজিসি যে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা দেয় সেটি বাস্তবায়নে সকলকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ন হওয়ার তাগিদ দেন উপাচার্য।
আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সেমিনারে সূচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট) রাধেশ্যাম। এসময় আইউকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশাল মুক্ত দিবস পালিত মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশালবাসীর বীরত্বের ইতিহাস জাতীয় ইতিহাসের অংশ: উপাচার্য

 

আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। সেদিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ত্রিশাল উপজেলা মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা নেতৃত্ব দেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। শোভাযাত্রাটি থেকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও পরে ‘চির উন্নত মম শির’-এ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কর্মসূচিগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ৯ ডিসেম্বর ত্রিশালের মুক্তিযোদ্ধারা এই অঞ্চলকে শত্রæমুক্ত করেছিল। তাঁদের বীরত্বের ইতিহাস আমাদের জাতীয় ইতিহাসেরই অংশ। একারণে আমি ত্রিশালের জনসাধরণকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। কারণ ত্রিশালের মানুষ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, সবসময় প্রগতিশীলতার পক্ষে, সবসময় অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে তাদের আওয়াজ অতীতেও তুলেছিল এখনো তুলছে। ত্রিশালে মাটি পবিত্র মাটি, ত্রিশালের জনগণ উদার হৃদয়ের জনগন।
সশস্ত্র লড়াইয়ের আগে থেকেই ত্রিশালের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে নানা আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন মন্তব্য করে উপাচার্য আরও বলেন, আমি ত্রিশাল বাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি, ত্রিশালবাসীর প্রতি কুর্নিশ জানাই। ত্রিশালবাসী সবসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করেছে। এই খানের গ্রামঞ্চল, নিম্ন জলাভূমি অঞ্চল তাদের মধ্যে যে চেতনা সেটি মুক্তি সংগ্রামের চেতনা।
মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের সোনালী সন্তান হিসেবে আখ্যা দিয়ে উপাচার্য দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য যারা লড়াই করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, সম্ভ্রম দিয়েছেন সেসব শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ ও বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নজরুলের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় উপাচার্য গণতন্ত্রের ধারবাহিকতাকে অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান। তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যয়কে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি দিবসটিকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদসহ অন্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ আরও অনেকে।

 

 

ভলিবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে আন্তঃ বিভাগ (ছাত্র) ও আন্তঃঅনুষদ (ছাত্রী) ভলিবল প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনটি মোটোকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছি। একইসাথে আমি খেলার উপরও গুরুত্বারোপ করেছি। খেলার জন্য একটি স্পোর্টস ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। সুতরাং এই খেলা শুধু স্বল্প সময়ের জন্য নয় বরং বছরব্যাপী খেলাধুলার জন্য। ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ থাকলে তাদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।’
আজ ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ বুধবার বিকালে শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আন্তঃবিভাগ(ছাত্র) ভলিবলে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ রানার আপ হয়। অপরদিকে আন্তঃঅনুষদ (ছাত্রী) প্রতিযোগিতায় কলা অনুষদ চ্যাম্পিয়ন এবং বিজ্ঞান অনুষদ রানার আপ হয়।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া কমিটির সভাপতি ও মাননীয় উপাচার্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘ সকলের সহযোগিতায় আজ ভলিবল প্রতিযোগিতা খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হলো। এজন্য আয়োজক কমিটি, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ, অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টরিয়াল বডি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আর এভাবেই সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সকলের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে মাননীয় উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘মেয়েদের খেলাধুলার ক্ষেত্র তৈরি করার সময় এসেছে। আজ আন্তঃঅনুষদ প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ভলিবল খেলা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। এসময় মেয়েদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা নিয়ে ভাবনার কথা বলেন মাননীয় উপাচার্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। এসময় আচার্য শ্রীদীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী অধ্যাপক দেবকন্যা সেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ভলিবল প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দপ্তর প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক জিয়া উদ্দিন মন্ডলসহ অন্য বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। গত ৯ দিনে মোট ২৪টি বিভাগ ও ৬টি অনুষদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় মসজিদের সকল কার্যক্রম নতুন ভবনে স্থানান্তর

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। উপাচার্যের এই উদ্যোগের মধ্যদিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন পূর্ণাঙ্গ মসজিদ উপহার পেল।
এ উপলক্ষ্যে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, মসজিদ কিংবা মন্দির করা, এ ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সৌভাগ্য সবার থাকে না। এটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা আমাকে সেই বিরল সুযোগটি দিয়েছিলেন তাই আমি সবসময় চেষ্টা করেছি মসজিদ নির্মাণের কাজটি যেন ভালো ও সুন্দর হয়।
মসজিদ নির্মাণের ব্যক্তিগত মানসিক সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে উপাচার্য সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, আমি যখন আসি তখন এই কেন্দ্রীয় মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও কাজ কিন্তু ততটা আগায় নি। নানা কারণে নির্মাণ কাজ বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গিয়েছিল। ঠিকাদার কাজ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। তেমন একটা অবস্থা থেকে আমরা কাজ করে মসজিদটিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমি নিজে প্রতিনিয়ত এই মসজিদের কাজের তদারকি করেছি। মসজিদের প্রত্যেকটি ফ্লোর একাধিকবার ঘুরে ঘুরে দেখেছি। মসজিদ নির্মাণের সময় প্রত্যেকটি স্থানে আমার পদচিহ্ন রয়েছে।
ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, ধর্ম মানুষের আতœাকে পরিশীলিত করে। আমাদের সবাইকে পরলোকে যেতে হবে। আপনার সবসময় মসজিদে আসবেন, নামায পড়বেন। মসিজদ যখন মুসল্লিতে পরিপূর্ণ থাকবে সেদিনে আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হবো।
উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দশ্যে উপাচার্য আরও বলেন, আমরা যেন সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে নিজেদের ভাবতে শিখি। যদি এটা ভাবতে পারি তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করতে হবে। নিজের কাজটুকু ঠিকমতো করতে পারলেই ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। তাহলেই আপনি একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মো. মাহবুবুর রহমান। এসময় প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ অন্য বিভাগের নানা পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন

‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী সেই অর্থে কোনো চাকুরী নয় বরং এটি একটি সেবপ্রদান প্রতিষ্ঠান। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের সেবা করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কেনো সেবাগ্রহীতা যদি কোন অভিযোগ উত্থাপন করেন তা যাচাইপূর্বক ভোগান্তিবিহীন দ্রæততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এরফলে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে সেবাগ্রহীতাও সন্তুষ্টি লাভ করবে।

উপাচার্য আরও বলেন, প্রত্যেকে স্ব স্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অফিসের কার্যক্রম সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করলে যেকোনো সমস্যা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধান করা সম্ভব। আজকের কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা-পর্যালোচনা থেকে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ ঘটবে, যা তাঁদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং কর্মশালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-পরিচালক (ইন্সপেকশন ও মনিটরিং) মৌলি আজাদ। এসময় আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিত্ব

সাইবার নিরাপত্তা ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট প্রতিযোগিতায় সাফল্য বয়ে আনা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী রোববার (৫ নভেম্বর ২০২৩) বিকেলে উপাচার্য কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শেখ মো. সুজন আলী, প্রফেসর মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, আইসিপিসি প্রতিযোগিতার দলনেতা আরাফাত হোসেন, সাইবার নিরাপত্তা প্রতিযোগিতার দলনেতা ইউসুফ আব্দুল্লাহ ফাহিমসহ দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জন করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করায় উপাচার্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকলকে তার সাধুবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে থেকে ভাবমূর্তি উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের বিউবিটি ক্যাম্পাসে ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেএনইউ-সুই-জেনেরিক্স’ দলটি ২৪৮১টি দলের মধ্যে ৯৬তম স্থান অর্জন করে ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যায়ে চ্যম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অন্যদিকে একইদিনে এমআইএসটি ক্যাম্পাসে ‘ফ্লাগ হান্ট ২০২৩’ শীর্ষক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ২৩০ টি দলের মধ্যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাইবার নাইটস’ দলটি দ্বিতীয় ও ‘ক্রাকার্স’ দলটি ২৩ তম স্থান অর্জন করে।

শেখ রাসেলের ষাটতম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ। শেখ রাসেলের ষাটতম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। বুধাবর (১৮ অক্টোবর ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল শিশু পার্কে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর উপাচার্য শেখ রাসেলের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের ভাস্কর্য স্থাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, শেখ রাসেল শিশুপার্কসহ ক্যাম্পাসের নানা কিছুর দিকে আমরা একসঙ্গে নজর দিয়েছি, বারবার যাচ্ছি। আমাদের এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ভাস্কর মণিন্দ্র পাল। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার তার বাসায় গিয়েছি। কাজটি দেখেছি। আমাদের পরামর্শগুলো দিয়েছি। আসলে ভালোকিছু জন্য একটামানসিক সংযোগ খুব জরুরি। সেটা আমরা বারবরা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এর মূল কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের আদর্শ। শেখ রাসেল আমাদের কাছে নিষ্পাপের প্রতীক। তিনি সবসময় আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় থাকবেন।
শেখ রাসেলের ভাস্কর্যটি যেখানে স্থাপিত হয়েছে সেই শেখ রাসেল শিশুপার্কটির কাজও দ্রুততম গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পার্কের সীমনা প্রাচীরের কাজ প্রায় শেষ। শিশুদের জন্য মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। তাদের জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপন করা হবে। শেখ রাসেল শিশুপার্ক হবে শিশুদের খেলাধুলো ও শরীরচর্চার অবাধ বিচরণক্ষেত্র।
শেখ রাসেল শিশুপার্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, এখানে জঞ্জাল ছিল, টাইলস ইট ভাঙ্গা ছিল, এবরো থেবরো। মানুষ হাটাহাটি করতেন না। দুটো সরুপথ দিয়ে মানুষ ভবনে যাতায়াত করতো। এ পর্যায়ে আমাদের বাচ্চাদের কথা ভেবে আমরা এখানে একটি শিশুদের উপযোগী পার্ক করার উদ্যোগ নেই। সেই উদ্যোগ থেকে ইতোমধ্যেই এই পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সে পার্কের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধতার কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও আমরা খুব অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পার্কের শুভ উদ্বোধন করতে পারবো বলে আশা করি। এখানে রাইড থাকবে। ওয়াকওয়ে থাকবে। পরিপূর্ণ একটি শিশুপার্ক হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’-শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’-শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে কর্মশালাটি আয়োজন করে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনোভেশন টিমের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ. জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সময়োপযোগী কর্মশালা আয়োজনের জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও গবেষণার মধ্যে সমন্বয় করার মধ্যদিয়ে একটি আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণাকে ধারণ করতে হবে। গবেষণার মধ্যদিয়ে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে।

বর্তমান প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রশংসা করে ইউজিসি সদস্য আরও বলেন, মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবদিক থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রা সামনের দিকে আরো অব্যাহত থাকুক। একটি গবেষণামুখী প্রযুক্তি নির্ভর, মানবিক, স্মার্ট নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হোক সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে পৌঁছুতে হলে আমাদের স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়তে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে স্মার্টনেসকে তৈরি করতে হবে। আমাদের চারিদিকে সামন্ততান্ত্রিকতা এমনভাবে গ্রাস করে ফেলেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আধুনিকতা ও সামন্ততান্ত্রিকার মধ্যে যে পার্থক্য এরমধ্যেই স্মার্টনেসের একটা পার্থক্য আছে।

তিনি আরো বলেন,আজকে নিরক্ষরতার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। লেখাপড়া না জানাকেই এখন আর নিরক্ষরতা বলে না। নাম লিখতে না পারাকে নিরক্ষরতা বলেনা। আজকে নিরক্ষরতার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আজকে কোনো মানুষ যদি তথ্য প্রযুক্তিতে অজ্ঞ থাকে তাহলে কিন্তু তাকে ওই অর্থে শিক্ষিত বলা চলে না। তাই বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষিত হবার যুগ।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সম্পদব্যক্তি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।