সিসি ক্যামেরার আওতায় সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সুরক্ষা ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর ২০২৩) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সিসি ক্যামেরার আওতায় সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
একদিকে ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও অন্যদিকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ-এ দুইয়ের সমন্বয়ে যথাযথভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও স্মার্ট ক্যাম্পস বিনির্মাণে আরও একটু এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, আমরা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে সুন্দর ক্যাম্পাস গড়তে চাই। সে ক্যাম্পাস গড়ার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই আমরা অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছি। ইতোমধ্যেই চারিদিকে সীমনা প্রাচীর নির্মাণের মধ্য দিয়ে সুরক্ষিত। ক্যাম্পাসের দুদিকে দুইটি দৃষ্টি নন্দন গেট স্থাপনের কাজও অনেকদূরে এগিয়ে গেছে। দুটো গেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আলাদা একটি জগত হবে সেটি একটি নন্দন কানন হবে।
সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি যে আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো দাঁড়োয়ান থাকবে না। যে কেউ একটি গেট দিয়ে প্রবেশ করে অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে গেলে তিনি অটো স্ক্যানিং হয়ে যাবেন। এই ক্যাম্পাস হবে নিজের বাড়ির মতো নিরাপদ ও শৃঙ্খলার সঙ্গে চলাচলের অভয়ারণ্য। এই ক্যমেরাগুলো যেমন যে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষা দিবে তেমনি করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সেগুলোও খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং অভিনেতা ও খন্ডকালীন শিক্ষক বৃন্দাবন দাস। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিসি ক্যামেরা স্থাপন সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয়ভাবে ৩২৫ টি ক্যামেরা, ৯টি বিভাগের নিজস্ব তহবিল থেকে ক্রয়কৃত ৪৯টি ক্যামেরা ও পূর্বে স্থাপিত ৫১টি ক্যামেরাসহ সার্বক্ষণিক ৪২৫টি ক্যামেরা দ্বারা নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩২৫ টি ক্যামেরা গুলো দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ৫টি, ইংরেজীভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ৪টি, সঙ্গীত বিভাগে ২টি, সি.এস.ই. বিভাগে ১৪টি, অর্থনীতি বিভাগে ৫টি, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে ৫টি, চারুকলা বিভাগে ৬টি, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৫টি, ই.ই.ই. বিভাগে ১৫টি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৫টি, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনবিদ্যা বিভাগে ৪টি, ফোকলোর বিভাগে ৩টি, আইন ও বিচার বিভাগে ২টি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫টি, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগে ২টি, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ৩টি, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগে ১টি, দর্শন বিভাগে ৫টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২টি,ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫টি,পরিসংখ্যান বিভাগে ৫টি, মার্কেটিং বিভাগে ৩টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে ২টি, কলা অনুষদের ডিন অফিসে ২টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে ৬টি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অফিসে ৬টি, পরীক্ষা হল-১ এ ৮টি ও পরীক্ষা হল-২ এ ৮টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এদিকে অগ্নি-বীণা হলে ১৬টি, দোলন-চাঁপা হলে ১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪১টি ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩১টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। প্রশাসনিক ভবন-১ এ ৯টি ও প্রশাসনিক ভবন-২ এ ১৬টি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১৫টি, উপাচার্য বাংলোতে ৩টি, মেডিকেল সেন্টারে ১০টি, আইসিটি সেলে ২টি ও ক্যাম্পাসের নানা স্থানে ২৮টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ১ম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত

রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার (৪ অক্টোবর ২০২৩ ) দুপুরে উপাচার্য কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদনের (২০২১-২০২২) মোড়ক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ১ম বার্ষিক প্রতিবেদন সম্পাদনা পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, সদস্য সচিব তানিয়া আফরিন তন্বী, অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) ও পিএস টু ভাইস চ্যান্সেলর এস এম হাফিজুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পারিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউদ্দৌলাহ প্রধানসহ অন্যরা।
মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আমি শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন ‘মটো’ হিসেবে গ্রহণ করি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতঃপূর্বে কোনো বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি জেনে খানিকটা অবাক হই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক সার্বিক কর্মকান্ড উল্লেখ যেখানে থাকার কথা সেই প্রয়োজনীয় দলিলটি প্রকাশ না হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কাম্য নয়। এরপরই আমরা বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
সম্পাদনা পরিষদকে সাধুবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদন সময়ের সাথে ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। তাই এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সময় ও পরিশ্রমসাধ্য এই কাজটি সকলের প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়েছে। আমি সকলকে আমার সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও কাজের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটিজেন চার্টার প্রকাশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সিটিজেন চার্টার ওয়েবসাইটে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এই প্রকাশের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরমধ্য দিয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ার ক্ষেত্রে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আর একটু এগিয়ে গেল।

সিটিজেন চার্টার ওয়েসাইটে প্রকাশের শুভ উদ্বোধন করে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এর মধ্যদিয়ে যেকোনো সেবাগ্রহীতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশ গড়ার জন্য আমরা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চাই। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হলে রাষ্ট্র উন্নত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়েল এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ইউজিসি এপিএ কার্যক্রমের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল্যায়নে নজর দিয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা গত অর্থবছরে এপিএতে ১৪ তম অবস্থান অর্জন করেছি। এই অবস্থান ধরে রাখাসহ আরও উন্নতিতে আপনাদের সকলের একান্ত সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

সেবা প্রদান প্রতিশ্রæতি বিষয়ে অংশীজনের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন এপিএ ফোকল পয়েন্ট রাধেশ্যাম। সভাপতিত্ব করেন সেবা প্রদান প্রতিশ্রæতি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। সঞ্চালনা করেন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণসহ বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।

 

 

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়ম্বরপূর্ন ওরিয়েন্টেশন ২০২৩ এর মধ্যদিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের নবযাত্রায় স্বাগত জানিয়ে আড়ম্বরপূর্ন ওরিয়েন্টেশন ২০২৩ এর মধ্যদিয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (সপ্তদশ ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবি,বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
এসময় তিনি বলেন, মানুষ মানুষ হয়েছে তার কল্পনা শক্তির দ্বারা। একমাত্র মানুষই পারে কোনো কিছুকে কল্পনা করতে। যা অন্য কোন জীবই পারে না। পৃথিবীতে আইনস্টাইনের চেয়ে বেশি জ্ঞান কেউ দেয় নি। সেই তিনি বলেছেন জ্ঞানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কল্পনা। কাজেই সেই কল্পনা করার ক্ষমতাকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর সেটা করার অনেক রাস্তা আছে তবে সবচেয়ে সহজ রাস্তাটা হলো বই পড়া। শিক্ষার্থীদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ তোমরা বেশি বেশি বই পড়ো।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হতে হবে যেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনো পারে না। তোমাদের নিজেদের তাগিদেই মানুষের গুণাবলিগুলো অর্জন করে নিতে হবে। তা না হলে তুমি কিন্তু টিকবে না। সামনের জীবনে চলতে হলে সতর্ক থাকতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ না হলে রাষ্ট্র বিকশিত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে না। সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে না। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি চাই আপনারা একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলবেন, একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলবেন।
আগত নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষা জীবনে সর্বোচ্চ জ্ঞান অর্জনের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী সত্যিকারের ও সার্বিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পথের দিশা পায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নন্দনকানন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যেখানে লেখাপড়ার মানকে সুনিশ্চিত করা হবে, গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে। বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরি করে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সকল ধরনের উৎসাহ দেওয়া হবে।রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ওরিয়েন্টেশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী।ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে জীবন ও চরিত্র গঠনের পরামর্শের পাশাপাশি হাতে তুলে দেওয়া হয় এক বছরের একাডেমিক ক্যালেন্ডার। এই ক্যালেন্ডার অনুসারে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে লেখাপড়া, পরীক্ষা এবং অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে অতিথিরা ক্যাম্পাসে এলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয় রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল দুই ধ্রুব তারকার নাম। আমাদের সৌভাগ্য, বাঙালি পেয়েছে নজরুলের সাহসী পদযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন নেতৃত্ব ও রবীন্দ্রনাথের শান্তির বিশ্বের অসীম দিশা। এটাই আমাদের সঞ্চয়। সোমবার (২৮ আগস্ট) রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং আলোচক হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক রেজা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তর সালে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু এই দুই ধ্রুব তারকার কাছ থেকে অণুপ্রেরণা নিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। দুই ধ্রুব তারাকে বাংলাদেশ সম্মানিত করেছে উল্লেখ করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে সম্মান দিয়ে স্বাধীন দেশে একজনের সঙ্গীত জাতীয় সঙ্গীত ও অন্যজনের সঙ্গীত রণ সঙ্গীত করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামকে করেছিলেন আমাদের জাতীয় কবি।কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তারানা নূপুর এবং সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবীর কুমার চক্রবর্ত্তী।সেমিনারের শুরুতে রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। একই অনুষ্ঠানে সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জয়ধ্বনি মঞ্চে সন্ধ্যায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা। সবশেষে  হয় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম প্রয়াণ দিবস

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম প্রয়াণ দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

১৫ আগস্ট, ২০২৩ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হয়। শোক দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপর একটি শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাদ যোহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনলে হবে না, যারা চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই চক্রান্তকারীদের আজকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ সময় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম হাওলাদার, সদস্য সচিব নুসরাত শারমিনসহ অন্যরা।পরবর্তীতে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে আলোচনা সভা শেষে ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন ঐক্য, সংগ্রাম ও সহনশীলতার প্রতীক। তার আদর্শ ও চেতনাকে ধারন করে আমাদের ও একসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ৮ আগস্ট ২০২৩ , বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।উপাচার্য বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে সাহস দিয়েছেন, পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি সংসারের পাশাপাশি দলকেও সংগঠিত করেছিলেন, দেশকে সংগঠিত করেছিলেন।বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিন তানিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর ও প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি। এর আগে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রাধ্যক্ষ, হাউজ টিউটর ও শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‌২য় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‌শুরু হয়েছে ‘2nd International Conference on Technology, Business and Justice towards smart Bangladesh’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। নেপাল-মালয়েশিয়া ও জাপান থেকে আগত শিক্ষাবিদ এবং গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ৫ জুন সকালে কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ৩য় তলায় কনফারেন্সটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি.। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের ইউনিভার্সিটি অব হাইয়োগোর ড. সিয়োজি কোবাসি, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা মালয়েশিয়ার ড. হারটিনি সারিপান ও নেপালের কাঠমাণ্ডু ইউনিভার্সিটির ড. বিনোদ কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠা। স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।

অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি. ক্যাম্পাসে পৌঁছুলে তাকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরসহ অন্যরা। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উদ্বোধনী অধিবেবেশনে যোগদেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার, কনফারেন্স, কনভোকেশন-এ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো হবে কেননা এর মধ্যদিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের এক ধরনের মানসিক পরিবর্তন হয়। যা স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট ফিউচারের যে স্মার্ট সিটিজেনের চিন্তার বিষয়গুলো সেগুলোকে আরো বেগবান করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভিন্ন চিন্তা, সমাধানকেন্দ্রিক চিন্তা, সামষ্টিক চিন্তা এবং শিক্ষার্থীদেরকে নানান বিষয়ের উপর দক্ষ করে তোলা, সফ্ট স্কিলগুলোকে উন্নতি করা সে বিষয়গুলো এধরনের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে অর্জন করা যায়, যাতে সকলেই উৎসাহিত হয়। এরমধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন, সামগ্রিকভাবে দেশের পরিবর্তন হবে। তাই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি সাধুবাদ জানাই’

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণামনস্ক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এমন একটা পরিবেশ চাই যেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনকে মোটো ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন জ্ঞান সৃষ্টির প্রতি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য প্রতিবছর এ ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

কনফারেন্স সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিদেশী অতিথিরা বলেন, ‘এ ধরনের কনফারেন্সের মধ্যদিয়ে যে জ্ঞানের সৃষ্টি হয় তা আমাদের সমাজ ও মানব জীবনের বিশাল প্রভাব রেখে থাকে। অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুশৃংখল পরিবেশে আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্স আয়োজনের মধ্যদিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে।’

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ও বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে প্যারালাল সেশন পরিচালিত হয়। যেখানে দেশ বিদেশের গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য, এবারের কনফারেন্সে ১৮৩ টি জমা পড়া গবেষণা প্রস্তাবের সারাংশের মধ্যে যাচাই বাছাই করে ৯২টি গবেষণা সারাংশ কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। যা দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত কনফারেন্সে বিভিন্ন প্যারালাল সেশনে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া কনফারেন্স শেষে প্রতিটি অনুষদের জন্য দুটি করে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।