Published: 31-08-2025
Updated: 31-08-2025 04:49:29
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪তম রবীন্দ্র ও ৪৯তম নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রবিবার (১৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুই কবিই স্থান, কাল, পাত্রকে অতিক্রম করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পারিবারিক সাহচর্য পেলেও কবি নজরুল তা পান নি। কবি নজরুল ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সংগ্রামী। তিনি তাঁর জীবনে বিভিন্ন ধরণের কাজের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সৈনিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, ঐপন্যাসিক ইত্যাদি। দুই কবিরই গান, কবিতা, উপন্যাস আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমি মনে করি শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই নয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও একজন বিশ্বকবি।’
আলোচনা সভায় রবীন্দ্র-বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন উদারনৈতিক মানবতাবাদী কবি। তিনি ছিলেন একজন একটিভিস্ট। তিনি প্রত্যেক কালে নতুনভাবে জেগে উঠেন। অর্থাৎ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন ক্লাসিক কবি। তাঁর সৃষ্টিকর্ম চিরন্তন, তাই তাঁকে আমরা জীবিত আকারে চর্চা করবো।’
নজরুল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অন্ধকার ভারতবর্ষে কবি নজরুলের আগমন একটি প্রদীপ হিসেবে। পরাধীন দেশের স্বাধীন কবি ছিলেন কবি নজরুল। তিনি মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বিদ্রোহ করেছেন। তাঁকে ধারণ করতে পারলে আমরা লাভবান হতে পারবো।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র-নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটি- ২০২৫ এর সভাপতি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. জিল্লাল হোসাইন। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় কিস্তির চেক গবেষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নজরুলের জীবন ও কর্ম বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প প্রদান করায় মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী গবেষকের প্রত্যেককে ২৫০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশিত হয়।