জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল দুই ধ্রুব তারকার নাম। আমাদের সৌভাগ্য, বাঙালি পেয়েছে নজরুলের সাহসী পদযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন নেতৃত্ব ও রবীন্দ্রনাথের শান্তির বিশ্বের অসীম দিশা। এটাই আমাদের সঞ্চয়। সোমবার (২৮ আগস্ট) রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং আলোচক হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক রেজা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তর সালে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু এই দুই ধ্রুব তারকার কাছ থেকে অণুপ্রেরণা নিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। দুই ধ্রুব তারাকে বাংলাদেশ সম্মানিত করেছে উল্লেখ করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে সম্মান দিয়ে স্বাধীন দেশে একজনের সঙ্গীত জাতীয় সঙ্গীত ও অন্যজনের সঙ্গীত রণ সঙ্গীত করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামকে করেছিলেন আমাদের জাতীয় কবি।কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তারানা নূপুর এবং সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবীর কুমার চক্রবর্ত্তী।সেমিনারের শুরুতে রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। একই অনুষ্ঠানে সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জয়ধ্বনি মঞ্চে সন্ধ্যায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা। সবশেষে হয় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ।
Access your account, change settings or access your dashboard.