Call us : 09032-56212

‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

Published: 2023-12-20

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষে আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ বুধবার ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বের সভাপতি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী, জাতীয় চারনেতা, ভাষা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সকলকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যার যা দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে সম্পাদন করলেই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবো। ন্যায়-নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সাথে আমাদের পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে। কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। নির্ধারিত লক্ষ অর্জনের জন্য কাজ করে সেই লক্ষে পৌঁছতে হবে। যেহেতু লক্ষ আমরাই নির্ধারণ করবো, তাই এই পরিকল্পিত কাজে কোনভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না।
ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকালে এ.পি.এ. র‌্যাংকিংয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তলানিতে ছিল। ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯তম এরপর আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের কাজের মাধ্যমে ২৯তম এবং সবশেষ ১৪তম অবস্থানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পিছিয়ে ছিল তারা চেষ্টা করবে এগিয়ে যাওয়ার। ফলে আমাদের অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিতে আগের চেয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আপনাদের কাজের আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে আগামীতে এ.পি.এ. র‌্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান আরও ভালো হবে আমার বিশ্বাস।
প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন হতে আগত সম্পদ ব্যক্তিদ্বয় ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত। তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষিত জ্ঞান আপনাদের আরও প্রশিক্ষিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কর্মশালা আর ক্লাসের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে উল্লেথ করে তিনি বলেন, কর্মশালায় প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে। প্রশ্ন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। আপনাদের যে বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হবে বা জানতে চান তা প্রশ্ন করে জেনে নিবেন। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহেরসহ অতিথিবৃন্দ, সম্পদ ব্যক্তি ও প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের। প্রধান অতিথি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি এবং সেই অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষার জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় উম্মুক্ত জ্ঞানচর্চার জায়গা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকরী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ফলে তাদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব না। ন্যায়-নীতির মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমের সাথে ছাড় দেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে মেধাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে প্রধান অতিথি উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনীপর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স বিভাগের উপ-সচিব ও এ.পি.এ এর ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব ও শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান সম্পদব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ।