News

Congratulations to our Professor Dr. A H M Kamal for his achievement of National Award for the contribution in the field of Telecom and ICT.
Congratulations to our Professor Dr. A H M Kamal for his achievement of National Award for the contribution in the field of Telecom and ICT.

“কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প” প্রকাশ করলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মিজান
আমরা সকলেই আধুনিক প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল, ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করছি কিন্তু এইসব প্রযুক্তিগুলো যাঁরা আবিষ্কার করেছেন তাঁদের সম্পর্কে এবং কীভাবে আবিষ্কার করেছেন তা আমরা খুব কম মানুষই জানি। আবিষ্কার ও আবিষ্কারকদের সম্পর্কে জানানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সি.এস.ই.) বিভাগের প্রফেসর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান (গ্রন্থে প্রকাশ: এম এম রহমান)। তিনি প্রকাশ করেছেন ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প’ নামক একটি চমৎকার ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প’ বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের জীবন ও অবদানের এক আকর্ষণীয় বর্ণনা। চার্লস ব্যবেজ, অ্যাডা লাভলেস, অ্যালান টিউরিং, হারমান হলেরিথ, কনরাড জুস, জন ভন নিউম্যান, গ্রেস হপার, টিম বার্নার্স-লি, ভিন্ট সের্ফ, ডোনাল্ড নুথ, ডেনিস রিচি, কেন থম্পসন, লিনাস টরভাল্ডস, শফি গোল্ডওয়াটার, জুডিয়া পার্ল, জন ব্যাকাস, বিজারনে স্ট্রাউস্ট্রাপ, ডগলাস এঙ্গেলবার্ট, জেমস গসলিং, রে টমলিসন, মার্টিন কুপার, মার্ভিন মিনস্কি, জন ম্যাকার্থি, ইয়ান লেকুন, ডেমিস হাসাবিস, ক্লদ শ্যানন, স্টিফেন কুক, রিচার্ড ফাইনম্যান, ফেই-ফেই লি, সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন ও আলবার্ট আইনস্টাইন-এই তালিকায় আরো অনেক কিংবদন্তির নাম রয়েছে। এই মহান মানুষেরা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, আমাদের চিন্তাভাবনার ধারাকে বদলে দিয়েছেন। তাঁদের গল্প শুধু তথ্য নয়, বরং অনুপ্রেরণার এক উৎস।গ্রন্থটিতে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের জীবনী নিয়েই লিখিত নয়, এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের উত্থান ও তাঁদের অধ্যাবসায়ের গল্প। স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক, বিল গেটস, পল অ্যালেন, ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গ, জ্যাক মা-বিখ্যাত এমন সব প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা কীভাবে প্রযুক্তির জগতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছেন, তা জানা যাবে গ্রন্থটি থেকে। তাঁদের গল্প পড়ে পাঠক শিখতে পারবেন কীভাবে উদ্ভাবনী শক্তি, দৃঢ় মনোবল, অধ্যাবসায় এবং সঠিক পরিকল্পনা একসাথে কাজ করে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে। বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে একজন বিজ্ঞানী বা উদ্যোক্তার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায়সহ উদ্যোগ গ্রহণে তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।গ্রন্থটি পড়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্বে প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় অনুপ্রাণীত করতে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প’ বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বইটি সহজ ভাষায় লিখিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, গবেষকসহ যেকোন ব্যক্তির জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞানার্জনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। বইটি পড়ে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়, প্রযুক্তির উন্নতি এবং অগ্রগতি কেবল মেধা এবং পরিশ্রমের সমষ্টি। মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে পাঠকবৃন্দ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অনুপ্রাণিত করে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে উৎসাহিত হবে বলে আমি আশা করছি।’’গ্রন্থটি বিষয়ে লেখক এম এম রহমান (প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান) বলেন, “বর্তমান যুগে কম্পিউটার বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমাদের প্রায় প্রতিটি কাজেই যার অবদান রয়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত যাদের অবদান রয়েছে, সেই সব কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প গ্রন্থটিতে সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্পও গ্রন্থটিতে সন্নিবেশ করা হয়েছে। আমার 'কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প' গ্রন্থটি টেকনিক্যাল বা নন-টেকনিক্যাল যেকোন ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারবেন, এবং পাঠকবৃন্দ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অনুপ্রাণিত হবেন এবং তাদের নিজস্ব ক্যারিয়ার গঠনে একটি দিকনির্দেশনা পাবেন।”অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে। স্টল নং: ৬-৭, মেঘদূত প্রকাশন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা। এছাড়া অনলাইনে অর্ডার করতে লিংক: https://forms.gle/EfkSWsKpiA8mLEWd8.