SURVIVAL IS WAR AND PEACE : A Novel of Bangla Literature By Maula Prince. 1st Edition : February 2022. A Publication of Noihrita Cafe, Dhaka 1207. Cover : Rayhan Shoshi. ISBN : 978-984-8124-73-4. মহাকাব্যিক উপন্যাস ‘বেঁচে থাকাই যুদ্ধ এবং শান্তি’ : “তবে কী পৃথিবী ধ্বংস হতে আর বেশি দেরি নেই? স্বর্গ কিংবা নরকের ট্রেন অথবা নৌকা তাহলে কী দাঁড়িয়ে রয়েছে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায়? কোনটে বায়, আইসো ক্যা, আইসো সবায়; কিন্তু, আমরা তো যেতে চাই না, আমরা তো এখনো প্রস্তুত নই, প্রস্তুতি নিই নি! জাগো বাহে কোনটে সবায়; কিন্তু, আমরা তো জাগি নি, আমাদের এখনো ঘুম প্রয়োজন, এখনো ঘুম আমাদের গ্রাস করেছে, আচ্ছন্ন করেছে, মোহে আবদ্ধ করে রেখেছে, হামরা যাবার পাবার নই বাহে, হামার ম্যালা কাম বাকি আছে বাপু, হামার ঘুম আছে, হামরা আর এ্যাকনা ঘুমামো, নিন যামো, তারপরোত সুমায় হইলে আসমো, তুমরা যাও, তুমরা যাও, তুমরা চলি যাও বাহে, আর আইসেন না বায়ো, হামার যাবার শখ নাই, ইচ্ছা নাই, আল্লাদ নাই, শক্তিও নাই বাপু…, ফির ডাকেন ক্যা বাহে, অতো জোরে জোরে ডাকেন ক্যা, অতো অতো হাকেন ক্যা, হামার ঘুম নষ্ট করেন ক্যা, আসমান কি কালা কুটকুটা হইছে, ধুমা দিয়্যা ঢাকি গেইছে দেওয়্যা, দজ্জাল কি আইসছে, জানোয়ার দব্বাহ কি ব্যারাইছে, পশ্চিম দিকোত কি সূয্য উইঠছে, ঈসা নবি কি ফির আইসছে, পূব আর পশ্চিম দিকোত কি মাটি ঘটোর-ঘটোর করি কাঁইপপ্যার নাইগছে, ইয়েমেনোত কি আগুন ভলভল করি জ্বইলব্যার নাইগছে; হামাক ক্ষমা করো বাহে, হামরা তুমার সাতে যাবার নই, হামরা তুমার পাছোত তুমার সাতোত যাবার নই…। কান পেতে পুনরায় শুনি, পুনরায়, ফির, আবার, ফের, অতঃপর; হামরা তুমার সাতে যাবার নই, হামরা তুমার পাছোত তুমার সাতোত যাবার নই, তুমার সাতোত-পাছোত হামরা নাই…, মুই যাবার নং…, হামি যামু না রে শালা, হারামির বোঠা…, আমরা যাবো নানে…, আঁই গম ছাড়ি যামু খডে, ফেনি পার ন হই…, যামু ক্যালা, আমরা যামু না…, কিসের লেগে, ক্যানে…, আমরা তোমার লগে যাইবো না…, আমরা যাবো না…, আঁই ন যাই…, হামলোক তেরা সাথমে নাহি যাঙ্গে, তুম যাও…, উই ডন্ট গো উইথ ইউ, উই উইল নট গো উইথ ইউ, ইউ গো অনলি, গো এ্যালোন, ইউ গো প্লিজ…, ডু গিস্ট…, টু ভ্যাস সিল টে প্লেইট…, ইউ নো ভৌ, ভেছে ভাই পুর ফ্যাভোর, ইউ নাও ইরেই…! বস্তুত, কোনো মানুষই পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায় না। পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার জন্য কোনো মানুষ কখনো প্রস্তুত থাকেও না। শত কিংবা হাজার অথবা লক্ষ দুঃখ-কষ্ট-হতাশার মধ্যে থেকেও কোনো মানুষ সুস্হ জ্ঞানে অনিশ্চিত স্বর্গ-নরকে যেতে চায় না। এজন্যই তো এতো কান্না, এতো অশ্রুপাত। পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার জন্যই কী মানুষ পৃথিবীতে এসেছে, এসেছিলো!” (৪৯-৫০ : ২৮৮, ২০২২)
Author: Dr. Md. Habib-Ul-Maula (Maula Prince)
৯৯-০০ সেশনের বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিষ্টভাষি, বন্ধুপ্রিয় মাওলা প্রিন্স। বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই-এর সক্রিয় জীবন সদস্য। হিমালয়ের পাদদেশ উত্তরের লালমনিরহাট জেলার গর্বিত প্রতিভা মাওলা প্রিন্স (জন্ম ১৯৮৩)। চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রাণিত পরিবেশে পূর্ণ হয় তার স্কুল-জীবনের পুরো সময়। তিনি ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানে ১ম বিভাগে এসএসসি সম্পন্ন করেন এবং লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে বাণিজ্যে ১ম বিভাগ প্রাপ্ত হন ১৯৯৯ সালে।
মাওলা প্রিন্স একজন কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক।
ছাত্রজীবন থেকেই কাহ্নপা, চিহ্ন, কীর্তিকা, ধ্রুব, সাম্প্রতিক, কালি ও কলম, দৈনিক প্রথম আলো, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে লেখালেখির মাধ্যমে নিজেকে তৈরি ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় সফল এক নক্ষত্র ।
১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষের ফাস্টবয়। ১ম বর্ষে ১ম হওয়ায় চার বছর অনার্সে এককভাবে ‘বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি’ প্রাপ্ত হন।
বিএ অনার্সে ২য় শ্রেণিতে ২য়, এমএ থিসিস গ্রুপে ১ম শ্রেণিতে ৩য় স্থান অধিকার করেন। তার থিসিসের বিষয় ছিলো : ‘রশীদ করীমের উপন্যাস’। ঔপন্যাসিক রশীদ করীমকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে এটিই ছিলো প্রথম পূর্ণাঙ্গ গবেষণাকর্ম।
১ এপ্রিল ২০০৭ সালে বাংলা বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ‘প্রভাষক’ পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু।
১ এপ্রিল ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ‘প্রভাষক’ পদে যোগদান করেন ।
১ এপ্রিল ২০১১ সালে ‘সহকারী অধ্যাপক’ ও ৩১ মে ২০১৬ সালে ‘সহযোগী অধ্যাপক’ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এরই মধ্যে ‘অধ্যাপক’ পদে আবেদন করেছেন।
ইউজিসি ফেলোশিপ নিয়ে ‘নজরুল ও জীবনানন্দের কবিতায় পুরাণ ও চিত্রকল্প’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনার জন্য ২০১৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ।
বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল সংখ্যা : ২০ টি।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৩টি : ‘নিশীথপ্রদীপে শঙ্খঝিনুকের চাষ’ (২০১৩), ‘দিবারাত্রি প্রেমকাব্য’ (২০১৪) ও ‘সব ঠিক, ঠিক কি, ঠিকটা কী’ (২০১৯)।
প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ ৩টি : ‘কালোত্তরের প্রতিশ্রুতি : প্রসঙ্গ সাহিত্য’ (২০০৯), ‘রশীদ করীমের উপন্যাস : বিষয়বৈভব ও শিল্পরূপ’ (২০১৪) ও ‘অনুধ্যানে নজরুল’ (২০১৭)।
মাওলা প্রিন্সের তত্ত্বাবধানে অনার্সে ২টি ও মাস্টার্সে ০৭টি গুরুত্বপূর্ণ থিসিস সম্পন্ন হয়েছে। ইউজিসি গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ‘নজরুল পৌরাণিক অভিধান’ (২০১৮-২০১৯) রচনা তার সাম্প্রতিক সময়ের আর একটি অর্জন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ ও আইকিউএসি’র অধীনে দুটি গুরুত্ববহ বড় প্রকল্পে সহযোগী সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। উচ্চতর শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১২ সালে শ্রীলংকায় ১৩ দিনের সরকারী সফরে অংশ নিয়ে প্যারাদিনিয়া ইউনিভার্সিটি (ক্যান্ডি), কলম্বো ইউনিভার্সিটি ও এক্রিডিটেশন কাউন্সিলে প্রশিক্ষণ নেন এবং অষ্টম আশ্চর্য সিগিরিয়া পরিদর্শন করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় জার্নাল ‘রুদ্র-মঙ্গল’ -এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে ৩ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। মাত্র ১১ বছরের অধ্যাপনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্সে ৮৬ টি কোর্স সম্পন্ন ও ১২ টি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিত্ব করেন।
ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স) বাংলা বিভাগের জামাই। প্রেয়সী-স্ত্রী কাজী সাহানা সুলতানা সুষমি তাঁর গর্বিত এ নিষ্কন্টক পথ চলার সাথি। তিনি বাংলা বিভাগের নবীনদের সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরনা।
৩ পুত্র সন্তান : শীর্ষ সুহৃদ (৯), প্রাজ্ঞ প্রাঞ্জল (৬) ও শুদ্ধ সুপ্রাণ (৩)।
মাওলা প্রিন্স পরিশুদ্ধ, পরিপাটি ও সামূহিক মানুষ হবার স্বপ্ন দেখে ও স্বপ্ন দেখায়।
[সূত্র : বাংলা বিভাগ এলামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২১ জুন ২০১৯]