তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রচারপত্র বিলি

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রচারপত্র বিলি কার্যক্রমের সূচনা হলো। বুধবার দুুুপুরে ভাইস-চ্যান্সেলর এর কক্ষে এই কার্যক্রমের শুভসূচনা করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার সংক্রান্ত কমিটির সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এই প্রচারণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল পদক ২০২৪ প্রদান সম্পন্ন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চারগুণী ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদক-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। রোববার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেন।
এবার নজরুল পদক-২০২৪ প্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন: গবেষণায় গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ। সংগীতে ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। পুরষ্কার হিসেবে পদকপ্রাপ্তদের হাতে একটি পিতলের পদক, সনদপত্র ও প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়। ড. গুলশান আরা কাজী বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর পক্ষে পদক গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আগত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, নজরুল সংগীত শিল্পী ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী।
এরপরই পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করা হয়। পদক গ্রহণ গ্রহণ করে পদকপ্রাপ্তরাও তাঁদের সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পদক প্রদানের জন্য তাঁরা সকলেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা করেন। নজরুলকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও আহবান জানান তাঁরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শুরুতেই নজরুল পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, নজরুল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চারগুণী ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদক-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। রোববার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেন।
এবার নজরুল পদক-২০২৪ প্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন: গবেষণায় গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ। সংগীতে ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। পুরষ্কার হিসেবে পদকপ্রাপ্তদের হাতে একটি পিতলের পদক, সনদপত্র ও প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়। ড. গুলশান আরা কাজী বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর পক্ষে পদক গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আগত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, নজরুল সংগীত শিল্পী ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী।
এরপরই পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করা হয়। পদক গ্রহণ গ্রহণ করে পদকপ্রাপ্তরাও তাঁদের সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পদক প্রদানের জন্য তাঁরা সকলেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা করেন। নজরুলকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও আহবান জানান তাঁরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শুরুতেই নজরুল পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজ যাদেরকে নজরুল পদক দিয়েছে তাদের সকলকেই আমার অভিনন্দন। আদতে আপনাদের নজরুল সংগীতচর্চা ও প্রিয় কবির অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশ্বময় তুলে ধরছেন আজকের পদক তারই স্বীকৃতি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যে এধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে পুরস্কৃত করছে এটা খুবই বড় একটা বিষয়।
কবি নজরুল প্রসঙ্গে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নজরুল আমাদের কাছে বিস্ময়। নজরুলের কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না। কবিতা তাঁর ভেতর থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছে। নজরুল বাংলা কবিতায় ‘বিদ্রোহের’ একটি ধারণা আবিষ্কার করেছেন যেটি এর আগে বাংলা সাহিত্যের আর কেউ করতে পারেনি।
নজরুলকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে তাঁর কবিতার তীব্রতা, তাঁর জীবনের আদর্শকে যেমন সঞ্চারিত করতে হবে তেমনি কবি হিসেবে নজরুলের যে অবস্থান ছিল সেটিও আলোকপাত করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকের দিনটি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়েরকে জাতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ঢাকাতে নজরুল জন্মজয়ন্তীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নজরুল পদক প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারলাম। আশাকরি আগামীতে নজরুল পদক প্রদানের এই অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকতে হবে। আসলে নজরুল বিশ^বিদ্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত হলেও শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দাগ কেটে যাবে।
নজরুল পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করে তিনি আরও বলেন, পদক তুলে দিয়ে আমরা আজকে ধন্য হলাম। আপনারা এই পদকগ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষ ধন্যবাদ।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চারগুণী ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদক-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। রোববার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেন।
এবার নজরুল পদক-২০২৪ প্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন: গবেষণায় গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ। সংগীতে ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। পুরষ্কার হিসেবে পদকপ্রাপ্তদের হাতে একটি পিতলের পদক, সনদপত্র ও প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়। ড. গুলশান আরা কাজী বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর পক্ষে পদক গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আগত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, নজরুল সংগীত শিল্পী ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী।
এরপরই পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করা হয়। পদক গ্রহণ গ্রহণ করে পদকপ্রাপ্তরাও তাঁদের সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পদক প্রদানের জন্য তাঁরা সকলেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা করেন। নজরুলকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও আহবান জানান তাঁরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শুরুতেই নজরুল পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, নজরুল বিশ^বিদ্যালয় আজ যাদেরকে নজরুল পদক দিয়েছে তাদের সকলকেই আমার অভিনন্দন। আদতে আপনাদের নজরুল সংগীতচর্চা ও প্রিয় কবির অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশ^ময় তুলে ধরছেন আজকের পদক তারই স্বীকৃতি। নজরুল বিশ^বিদ্যালয় যে এধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে পুরস্কৃত করছে এটা খুবই বড় একটা বিষয়।
কবি নজরুল প্রসঙ্গে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নজরুল আমাদের কাছে বিস্ময়। নজরুলের কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না। কবিতা তাঁর ভেতর থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছে। নজরুল বাংলা কবিতায় ‘বিদ্রোহের’ একটি ধারণা আবিষ্কার করেছেন যেটি এর আগে বাংলা সাহিত্যের আর কেউ করতে পারেনি।
নজরুলকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে তাঁর কবিতার তীব্রতা, তাঁর জীবনের আদর্শকে যেমন সঞ্চারিত করতে হবে তেমনি কবি হিসেবে নজরুলের যে অবস্থান ছিল সেটিও আলোকপাত করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকের দিনটি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ঢাকাতে নজরুল জন্মজয়ন্তীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নজরুল পদক প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারলাম। আশাকরি আগামীতে নজরুল পদক প্রদানের এই অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকতে হবে। আসলে নজরুল বিশ^বিদ্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত হলেও শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দাগ কেটে যাবে।
নজরুল পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করে তিনি আরও বলেন, পদক তুলে দিয়ে আমরা আজকে ধন্য হলাম। আপনারা এই পদকগ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষ ধন্যবাদ।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চারগুণী ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদক-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। রোববার (০২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেন।
এবার নজরুল পদক-২০২৪ প্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন: গবেষণায় গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ। সংগীতে ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। পুরষ্কার হিসেবে পদকপ্রাপ্তদের হাতে একটি পিতলের পদক, সনদপত্র ও প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়। ড. গুলশান আরা কাজী বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর পক্ষে পদক গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আগত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, নজরুল সংগীত শিল্পী ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী।
এরপরই পদকপ্রাপ্তদের পদক প্রদান করা হয়। পদক গ্রহণ গ্রহণ করে পদকপ্রাপ্তরাও তাঁদের সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পদক প্রদানের জন্য তাঁরা সকলেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা করেন। নজরুলকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও আহবান জানান তাঁরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শুরুতেই নজরুল পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজ যাদেরকে নজরুল পদক দিয়েছে তাদের সকলকেই আমার অভিনন্দন। আদতে আপনাদের নজরুল সংগীতচর্চা ও প্রিয় কবির অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশ্বময় তুলে ধরছেন আজকের পদক তারই স্বীকৃতি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে এধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে পুরস্কৃত করছে এটা খুবই বড় একটা বিষয়।
কবি নজরুল প্রসঙ্গে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নজরুল আমাদের কাছে বিস্ময়। নজরুলের কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না। কবিতা তাঁর ভেতর থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছে। নজরুল বাংলা কবিতায় ‘বিদ্রোহের’ একটি ধারণা আবিষ্কার করেছেন যেটি এর আগে বাংলা সাহিত্যের আর কেউ করতে পারেনি।
নজরুলকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে তাঁর কবিতার তীব্রতা, তাঁর জীবনের আদর্শকে যেমন সঞ্চারিত করতে হবে তেমনি কবি হিসেবে নজরুলের যে অবস্থান ছিল সেটিও আলোকপাত করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকের দিনটি নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আজকেবিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ঢাকাতে নজরুল জন্মজয়ন্তীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নজরুল পদক প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারলাম। আশাকরি আগামীতে নজরুল পদক প্রদানের এই অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকতে হবে। আসলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত হলেও শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দাগ কেটে যাবে।
নজরুল পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করে তিনি আরও বলেন, পদক তুলে দিয়ে আমরা আজকে ধন্য হলাম। আপনারা এই পদকগ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষ ধন্যবাদ।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে চারদিনব্যাপী ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। নজরুল পদক প্রদানের মধ্যদিয়ে এই জন্মজয়ন্তী কর্মসূচি সমাপ্ত হলো।
শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশ-বিদেশেবিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে চারদিনব্যাপী ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। নজরুল পদক প্রদানের মধ্যদিয়ে এই জন্মজয়ন্তী কর্মসূচি সমাপ্ত হলো।
শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে চারদিনব্যাপী ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। নজরুল পদক প্রদানের মধ্যদিয়ে এই জন্মজয়ন্তী কর্মসূচি সমাপ্ত হলো।
আজ যাদেরকে নজরুল পদক দিয়েছে তাদের সকলকেই আমার অভিনন্দন। আদতে আপনাদের নজরুল সংগীতচর্চা ও প্রিয় কবির অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশময় তুলে ধরছেন আজকের পদক তারই স্বীকৃতি। নজরুল বিশ^বিদ্যালয় যে এধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে পুরস্কৃত করছে এটা খুবই বড় একটা বিষয়।
কবি নজরুল প্রসঙ্গে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নজরুল আমাদের কাছে বিস্ময়। নজরুলের কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না। কবিতা তাঁর ভেতর থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছে। নজরুল বাংলা কবিতায় ‘বিদ্রোহের’ একটি ধারণা আবিষ্কার করেছেন যেটি এর আগে বাংলা সাহিত্যের আর কেউ করতে পারেনি।
নজরুলকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে তাঁর কবিতার তীব্রতা, তাঁর জীবনের আদর্শকে যেমন সঞ্চারিত করতে হবে তেমনি কবি হিসেবে নজরুলের যে অবস্থান ছিল সেটিও আলোকপাত করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকের দিনটি নজরুলবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ঢাকাতে নজরুল জন্মজয়ন্তীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নজরুল পদক প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারলাম। আশাকরি আগামীতে নজরুল পদক প্রদানের এই অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকতে হবে। আসলে নজরুল বিশ^বিদ্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত হলেও শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দাগ কেটে যাবে।
নজরুল পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করে তিনি আরও বলেন, পদক তুলে দিয়ে আমরা আজকে ধন্য হলাম। আপনারা এই পদকগ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষ ধন্যবাদ।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন।
প্রসঙ্গত, বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশ-বিদেশে বিশ^বিদ্যালয় গৃহীত নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে চারদিনব্যাপী ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। নজরুল পদক প্রদানের মধ্যদিয়ে এই জন্মজয়ন্তী কর্মসূচি সমাপ্ত হলো।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী সিটিজেন’স চার্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সেবাসমূহ সম্পর্কে সকলকে অবগত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিটিজেন’স চার্টার বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলোতে সিটিজেন’স চার্ট সংযোজন করা হবে। নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনে ডিজিটাল সিটিজেন’স চার্ট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। অনেকটা ইউজিসির আদলে এই সিটিজেন’স চার্ট সংযোজন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে দিনব্যাপী সিটিজেন’স চার্টার প্রশিক্ষন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের’ আমন্ত্রণে ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী এবং বাংলা বইমেলা ২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
সিটিজেন’স চার্টার বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, সিটিজেন’স চার্টার প্রণয়ণ করলেই শুধু হবে না এই চার্টার অনুসারে শতভাগ সেবাপ্রদান সুনিশ্চিত করা জরুরী। সেলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করতে চাই। আর সে নিশ্চিতকরণের জন্য প্রশাসনকে আরও গতিশীল করা ও জনবান্ধব করা আমাদের লক্ষ্য। সেদিক থেকে সিটিজেন’স চার্টারের কোনো বিকল্প নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও সিটিজেন’স চার্টার কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক (শা.শি.) ও সিটিজেন’স চার্টার কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী। সম্পদব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-পরিচালক ও সিটিজেন’স চার্টার কমিটির ফোকাল পয়েন্ট মো. আব্দুল আলীম এবং সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সিটিজেন’স চার্টার কমিটির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. ইকরামুল ইসলাম অপু। সমন্বয়ক করেন আইকিউএসির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।
প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, এপিএ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটিতে যুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী

নজরুল আমাদের বাঙালিকে আত্নবলে বলীয়ান হতে বলেছেন মন্তব্য করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, নজরুল আমাদের সমস্তকিছু ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছেন। এই প্রেরণার কবি অনেক গান লিখেছেন। তাঁর ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি রয়েছে কিন্তু তিনি যে জীবন দর্শন দিয়ে গেছেন এই জীবন দর্শন হচ্ছে আজকে আমাদের চালিকাশক্তি। তিনি আমাদের জাতীয় কবিই শুধু নন, তিনি আমাদের আদর্শের ধ্রুব তারকা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত দুইদিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন শনিবার (২৫ মে) সকালে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে আয়োজিত উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের’ আমন্ত্রণে ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী এবং বাংলা বইমেলা ২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। যেহেতু তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, সেহেতু তিনি নজরুলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযোগ ও সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করেন এবং শ্রোতৃমন্ডলী আগ্রহ সহকারে সে আলোচনা উপভোগ করেন।
সভায় বক্তব্যের শুরুতেই উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পঁচাত্তরে নিহত সকল শহীদ, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণ করেন। জাতীয় কবি নজরুলের প্রতি তাঁর বিন¤্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেন।
সবাইকে নজরুল দর্শন চর্চার তাগিদ দিয়ে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আসুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও আমরা যে যেখানে আছি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যাই। তাহলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবো।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কবি ওয়াল্ট হুইটম্যানের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের বিভিন্ন সাদৃশ্যর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মার্কিন কবি ওয়াল্ট হুইটম্যানের কবিতা নজরুল নিজে পড়েছেন। এবং হুইটম্যানে কথা তাঁর প্রবন্ধে লিখেছেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, নজরুলের একটি প্রবন্ধ আছে বর্তমান বিশ্ব সাহিত্য। এ প্রবন্ধে হুইটম্যানের কথা তিনি নিজে উল্লেখ করেছেন। মূলত মার্কিন কবি হুইটম্যান ও বাঙালি নজরুল ইসলাম তাদের জীবনের বেশকিছু মিল আছে। ব্যাপারটি খানিকটা কাকতালীয়। তারা দুজনেই জীবন শুরু করেছিলেন কঠিন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান ও চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল নাঈম। এসময় বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও নজরুল গবেষক অনুপম হায়াতের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমন সালাউদ্দিন ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ। প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. অনিরুদ্ধ কাহালি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার উপ-কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহবুব হোসেন। উদ্বোধনী সভায় গাহি সাম্যের গান স্মরণিকার চতুর্দশ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
এরআগে দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও নজরুল ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগ ও দপ্তরপ্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ছয়টায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। নজরুলের কবিতা পাঠ করে ‘শব্দকুঞ্জ’। এছাড়া সঙ্গীত বিভাগ থেকে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। রবীন্দ্র ও নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গাহি সাম্যের গান মঞ্চের পাশে তিনদিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী

একগুচ্ছ কর্মসূচি ও আয়োজনের মধ্যদিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা হয়েছে। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের’ আমন্ত্রণে ১২৫তম নজরুল জন্মজয়ন্তী এবং বাংলা বইমেলা ২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। যেহেতু তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, সেহেতু তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযোগ ও সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করেন এবং শ্রোতৃমন্ডলী আগ্রহ সহকারে সে আলোচনা উপভোগ করেন।
সেমিনারে বক্তব্যের শুরুতেই উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পঁচাত্তরে নিহত সকল শহীদ, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণ করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি তাঁর বিন¤্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গড়ে ওঠা অ¤ø-মধুর সম্পর্কের নানা দিক আলোকপাত করেন। পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিতত্তে¡ পড়াশুনা করার জন্য পাঠানো থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের পাঁচবার মার্কিন ভ্রমণ মাননীয় উপাচার্যের বক্তৃতায় উঠে আসে। এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রবীন্দ্রনাথের একাধিক সফরের নানাদিক, রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা ও চিত্রপ্রদর্শনী নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা করেন তিনি। মার্কিনীদের থেকে প্রাপ্ত সম্মানের পাশাপাশি প্রত্যখ্যাত হওয়া রবীন্দ্রনাথের কর্ম ও প্রতিক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন মাননীয় উপাচার্য।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর সময়ের মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের বিরূপতার উত্তর দিতে পেরেছিলেন। মূলত বাঙালির যে অহংবোধ, সেখানে যদি কেউ আঘাত করে তার কিন্তু প্রত্যাঘাত হয়। অতএব আঘাত করার মানসিকতা থেকে দূরে সরে যেতে হবে।
বিশ্বে অশান্তি ও অমানবিকতার দৃষ্টান্ত দিয়ে মাননীয় উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র দর্শনের মূলকথা বিশ্বশান্তি এবং তা প্রতিষ্ঠা। ‘দেবে আর নেবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে’–এটাই রবীন্দ্রনাথের বাণী। আসুন, আজকে সবাই রবীন্দ্রনাথের এই বাণী দিয়ে দুহাত স¤প্রসারিত করি। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম। গানের সুরের মধ্য দিয়ে ‘রবীন্দ্রনাথের গান: কথা ও সুর’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সাজেদ আকবর। গানের সুরে ও কথায় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সালমা আকবর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার উপ-কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর ড. মো. মাহবুব হোসেন। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও অগ্নি-বীণা হলের প্রাধ্যক্ষ হীরক মুশফিক। এসময় বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ছয়টায় গাহি সাম্যের গান মঞ্চে হয় সাহিত্য-বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি এতে অংশ নেন। এরপর রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে সঙ্গীত বিভাগ। এছাড়া সঙ্গীত বিভাগ ও ডান্স ক্লাবের পরিবেশনায় নৃত্যনাট্য ‘শ্যামা’ পরিবেশিত হয়। রবীন্দ্র ও নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গাহি সাম্যের গান মঞ্চের পাশে তিনদিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার (০৮ মে) সকালে কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তীতে মাননীয় উপাচার্যের কার্যালয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জীসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা-৪ অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা-৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন এপিএ ফোকাল পয়েন্ট ও অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট) রাধেশ্যাম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর এজন্য সকলকে একত্রিত থেকে কাজ করে যেতে হবে। অপপ্রচারে বিচলিত হওয়া যাবে না। যারা এ ধরনের অপপ্রচারে যুক্ত থাকেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। তারা আমাদের ভালো কাজ দেখে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করতে চায়। তাই এদেরকে উপেক্ষা করে আমাদের কাজ করে যেতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে।
উপস্থিত অংশীজনের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আপনারা ভালো কাজ করছেন। দুয়েকজন দুষ্ট মানুষের কাছে আপনারা আত্নসমর্পণ করবেন না। দুষ্টরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকে কিন্তু ভালো যারা তাদের মধ্যে কোনো একতা নেই। তাই ভালো যারা তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইউজিসি এপিএ র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির চিত্র তুলে ধরে বলেন উপাচার্য, আমরা ২০২১ সালে ৩৯তম ছিলাম ২০২২ সালে ২৯তম হয়েছি। এরপর ২০২৩ সালের র‌্যাংকিংয়ে আমরা ১৪তম হয়েছি। আমাদের এই সাফল্যে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এতে বিচলিত নই। আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যাবো। আমরা আগামীতে প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিতে চাই।
সভায় বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তর প্রধানগণসহ নানা অংশীজনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি (জিআরএস) এবং জিআরএস সফ্টওয়্যার’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি (জিআরএস) এবং জিআরএস সফ্টওয়্যার’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে ২০২৪) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী সচিব (আইন) মোহাম্মদ শোয়াইব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পতি শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে চতুর্থ শিল্পবিল্পবের অভিযাত্রায় শামিল হয়ে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে সকলের করণীয় দিক সম্পর্কেও বক্তব্যে আলোকপাত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ের নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমাদের সকলের সামনে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। কেননা আমরা এখানে উপস্থিত সকলেই ‘ওল্ড স্কুল’ শিক্ষা পদ্ধতিতে শিখে আসা ছাত্র। অর্থাৎ আপনি আমি যে ধাচে শিক্ষা নিয়ে এসেছিলাম সেটি এখন পাল্টে গেছে। যেহেতু এ পদ্ধতি পাল্টে গেছে এবং আমরা এখনো কর্মরত আছি তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছেÑএই পাল্টানো পদ্ধতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। যদি সেটা না করি তাহলে আমি নিজে যেমন পিছিয়ে যাবো; ঠিক তেমনে যে প্রতিষ্ঠানে আছি সে প্রতিষ্ঠানও পিছিয়ে যাবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রতিকার বিষয়ে জানার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, অভিযোগ প্রদান ও অভিযোগ সমন্বয়ের ব্যাপারে একটা পুস্তিকা আছে। ২০১৫ এটি বের হয়েছিল এবং এটি সংশোধিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। এই পুস্তিকাটি যদি আপনারা সবাই সংগ্রহ করে পড়ে নেন তাহলে এ বিষয়টি আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা-পর্যালোচনা থেকে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ ঘটবে, যা তাঁদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে বলেও মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং কর্মশালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এসময় বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উদযাপন করা হয়েছে

যথাযথ মর্যাদা ও কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আলোক সজ্জা, প্রদীপ প্রজ্বালন, আলোচনা সভাসহ দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুরুতেই ২৫ মার্চ কাল রাত স্মরণে সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১১ টায় ক্যাম্পাসে বø্যাকআউট করা হয়। ফলে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে এক মিনিট বিদ্যুতবিহীন গোটা ক্যাম্পাস অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হয়।
এরপর রাত সোয়া ১১টায় প্রথমে ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও পরে ‘চির উন্নত মম শির’ প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগ ও দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদীপ প্রজ্বালন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ কি সুন্দর একটা নাম। অথচ এই সুন্দর নামের আড়ালে ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ পাকিস্তানিরা করেছিল। তারা অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালিদের গুলি করে হত্যা করেছিল হাজার হাজার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘুমন্ত মানুষের উপর তারা নির্বিচারে গুলি করে শত শত বাঙালিকে হত্যা করা শুরু করে দেয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের রাত ইতিহাসে কাল রাত হিসেবে চিহ্নিত। এই রাতে যে গণহত্যা হয়েছিল তাকে হয়ত ইংরেজিতে ‘ম্যাস কিলিং’ বলা যেতে পারে কিন্তু তাতেও এই হত্যার নৃশংসতা বোঝানো যায় না। বরং এই নির্মমতাকে বোঝানোর জন্য ইংরেজিতে যে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি আছে তার একটি ভালো বাংলা শব্দ আমাদের ভাবতে হবে।
২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিচারের জোরালো গণদাবি পুনরায় ব্যক্ত করে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা যে গণহত্যা করেছিল সে কাজটি ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ। জঘন্যতম এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো আমরা পাইনি। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই-এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের বিচার আন্তর্জাতিকভাবে করতে হবে। এটাই সময়ের গণদাবি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে শহিদদের স্মরণে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা ধারাবাহিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্টগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলসহ পেশাজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপরে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য থেকে ক্যাম্পাসের ‘চির উন্নত মম শির’ প্রাঙ্গণে গিয়ে জমায়েত হয়। এখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। উপাচার্যের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা ধারাবাহিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য, বায়ান্ন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহিদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণ করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা দিবস একটি দিবস মাত্র নয়। এই দিবসের সাথে আমাদের মুক্তির ও চেতনার ব্যাপারটি যুক্ত রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুধু ১৯৭১ সালটির উপর নির্ভরশীল নয়। বাঙালির যে স্বাধীনতার স্পৃহা সেটি বহু বছর পুরোনো। বাঙালি যখন পরাধীন হয়ে যায়। একটি বৃহৎ পরিমন্ডলের অংশ হিসেবে বাঙালি যখন পরাধীনতার গøানি অনুভব করে তখন স্বাধীনতার জন্য আকুতি প্রকাশ করে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাঙালি ও এর আশেপাশের জনপদের যে পরাজয় হয়েছিল এরপর বাঙালির মধ্যে স্বাধীনতার আন্দোলন সংগ্রামের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার সাথে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ সেই যে বাঙালি স্বাধীনতা হারালো সেই স্বাধীনতাকে পুনরায় ছিনিয়ে আনার জন্য নানাদিকে আন্দোলন হয়েছে। বাঙালিরা করেছে, অবাঙালিদের মধ্যেও হয়েছে। কারণ তখন বাঙালিরা শুধু এই বাংলাদেশের পরিচয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাই বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহার যে পর্ব সে পর্বকে ১৯০ বছরের একটি পর্ব হিসেবে প্রারম্ভিকভাবে চিন্তা করা যায়। সেটি ১৭৫৭-১৯৪৭। এই ১৯০ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের বাঙালিরা যেমন অংশগ্রহণ করেছে অবাঙালিরাও অংশগ্রহণ করেছে।
উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুটো ঘটনা হলো বায়ান্ন সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও ৭১ সালের মহান মুক্তিসংগ্রাম। সেখানে দুটোক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানিরা মনে করেছিলÑব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরালে নিয়ে গেলেই হয়ত পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কোনো ব্যক্তি নন তিনি ছিলেন একটি চেতনার জলন্ত প্রদীপ। দুটো সংগ্রামের ক্ষেত্রেই তার চেতনার দ্বারা তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তিনি ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে। আমাদের ঘোষিত শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের মটো ইতোমধ্যেই অনেকে অনুসরণ করছে। আসলে এই সার্বজনীন ¯েøাগনকে সাথে নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে উঠবেÑস্বাধীনতা দিবসে এই হোক প্রত্যয়।
আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. মোকারেরম হোসেন মাসুম, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী, কর্মচারী সমিতি (গ্রেড ১১-১৬) সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, কর্মচারী ইউনিয়ন ( গ্রেড ১৭-২০) সভাপতি রেজাউল করিম রানাসহ অন্যরা। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব কল্যানাংশু নাহা। সঞ্চালনা করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল নাঈম ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় শিশুদিবসের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও স্বাধীনতা দিবসের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেন।