জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব:পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব। একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন তিনি অমর থাকবেন। নদীর পানি শুকিয়ে যেতে পারে কিন্তু জাতির পিতা সারাজীবন মানুষের হৃদয়ে চির জাগরূক হয়ে থাকবেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পর্কে নিজের সন্তোষের কথা জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রসশান যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা এমন স্থিতিশীল ক্যাম্পাস সারা বাংলাদেশে দেখতে চাই।সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষা-গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিন মোটোকে সামনে রেখে বর্তমান প্রশাসন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি কোন অপশক্তি যেন এখানে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সদা জাগ্রত রয়েছে।আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর প্রাধক্ষ্য মাসুম হাওলাদার।এছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনগন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার , বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি ও প্রক্টর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বাবু, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা।সকালে মাননীয় পনিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এম.পি. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছুনোর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক’ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

রবীন্দ্র ও নজরুলের দর্শনকে আমাদের জীবনে ধারণ করতে হবে: উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর

রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সারাজীবন তাঁদের বচন ও লেখনে মানুষের উপর আস্থা রাখা, ভরসা রাখার কথা বলেছেন। একজন বলেছেন ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান’ অন্যজন বলেছেন ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।’ এটাই তাঁদের জীবন দর্শন। আমাদের সেটা ধারণ করতে হবে ।২৮ শে আগস্ট রবিবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের কনাফরেন্স কক্ষে রবীন্দ্র নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি বলেন, ২২শে শ্রাবণ কিংবা ১২ই ভাদ্র এই দিনগুলো তখনি সার্থক হবে যদি আমরা তাঁদের আদর্শ আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও ধারণ করতে পারি। মানুষের উপর যে আস্থা সেটি রাখতে হবে। এখানে কোন জাত নেই, পাত নেই, ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, গোত্র নেই, উচ্চতা নেই; শুধু মানুষ পরিচয়ই বড়। আমাদের নানা বিদ্যা নানা কিছু শেখাবে, নানা বিভক্তি শেখাবে, পৃথক করবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যে বক্তব্য সেটা হচ্ছে সার্বিক অর্থে মানবজাতির যদি কল্যাণ না করা যায় তাহলে আমাদের বেঁচে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। মানুষে মানুষে বিভক্তি করে যে বাঁচা এই বাঁচা শান্তির বাঁচা নয়। বেঁচে থাকা শান্তিময় হবে যদি আমরা মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক সেটিকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি, অন্যকোন কিছুতে নয়।

উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ছিলেন বাঙালি জাতির দুই মনীষী। কোন জাতিতে যদি মনীষী জন্মগ্রহণ না করে তাহলে ওই জাতি বিশ্ব দরবারে কোন অবদান রাখতে পারে না। বিশে^র অনেক জাতিতে যেসব মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন তার সেসব ব্যক্তি আটশ’ নয়শ’ তম জন্মদিন পালন করেন। আমরা চারশ’ বছর আগে পাঁচ জন সে মাপের বাঙালি খুঁজে পাই না। মহামানব যে দেশে জন্মগ্রহণ করেনা সে দেশ একেবারে তলানিতে থাকে। চিন্তা চেতনা আবিষ্কার কোন কিছুই আগায় না। বাঙালির মধ্যে বড় মাপের মানুষ নাই বললেই চলে। যারা জন্মেছেন তারাও সাম্প্রতিক কালে। একশ’ বা দুইশ’ বছর আগে। পৃথিবীর ইতিহাসে একশ’ দুইশ’ বছর কিছুই না। তাহলে বাঙালি একটা বড় জাতি হবে কী করে? তবে আমাদের এখন মনীষী জন্মগ্রহণ শুরু করেছে। তাঁদেরকে আমাদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের জীবনে রবীন্দ্র ও নজরুল দর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল; তাঁদের জীবনে সার্টিফিকেট ছিল না কিন্তু তাঁরা বড় মানুষ হয়েছিলেন কারণ তাঁরা জীবনের পাঠ নিয়েছেন। আমাদের সার্টিফিকেট আছে অথচ আমরা জীবনের পাঠ নেই নি। রীন্দ্রনাথ ও নজরুল এমন দুইজন মানুষ যারা আমাদের খাদ্য দেন না, বস্ত্র দেনা কিন্তু তাঁরা আমাদের মানুষ হতে শেখান। আমরা যেন তাঁদের আদর্শ খানিকটা হলেও গ্রহণ করি। কেননা পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য হলো মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। চিন্তা করতে পারে ও চিন্তার প্রয়োগ করতে পারে। সেই স্বপ্ন কী? মানুষ যাতে সুখে থাকে, সব মানুষ যাতে ভালো থাকে।পশুরা তেমন স্বপ্ন দেখে না।

রবীন্দ্র ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য ড. মো. তুহিনুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিমসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কার্যসূিচ সমাপ্ত হয়।

নজরুল চর্চা করতে হবে আমাদের ঘর থেকে, পরিবার থেকে : উপাচার্য

২৭আগস্ট শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম প্রয়াণ দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন,”নজরুলকে শুধু জন্ম-মৃত্যু দিবসে আবদ্ধ রাখা অনুচিত,নজরুল চর্চা করতে হবে আমাদের ঘর থেকে, পরিবার থেকে ।” তিনি আরও  বলেন “আমরা যারা মাতা পিতা অভিভাবক আছি তারা যদি আমাদের গৃহে সন্তানদের নজরুল সম্পর্কে জানাই, তাঁর লেখা নিজে পাঠ করি, বাচ্চাদের পাঠ করতে উদ্বুদ্ধ করি, তাহলেই নজরুল চেতনার বিকাশ ঘটবে। শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয় পরিবার, প্রতিবেশ পরিবেশ এই সবকিছুতেই নজরুলকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই হোক আজকের প্রত্যয়।”কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলেন সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার কবি। তিনি বাঙালিকে শিখিয়েছেন অন্যায়ের বিরোধীতা করা, শিখিয়েছেন সাম্যের কথা বলা এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার। সমাজে যখন অসাম্য থাকে, নৈরাজ্য থাকে, অসমতা থাকে, তখন নজরুল চেতনায় আমরা সাম্যের গান গাই, সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করি।”এসময় উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. জাহিদুল কবীর, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. তারিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মাহবুব ইলাহী চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট, অর্থ ও হিসাব) রাধেশ্যাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারসহ অন্যরা।এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দুই দিনব্যাপী নানাবিধ কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র নজরুল প্রয়াণ দিবস পালিত হচ্ছে। কর্মসূচীর মধ্যে আছে পবিত্র কোরআন খতম, পুষ্পস্তবক অর্পন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, প্রবন্ধ পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সকাল নয়টায় পবিত্র কোরআন খতম দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নজরুল ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. তপন কুমার সরকার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, সাধারন সম্পাদক মো. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. জোবায়ের হোসেন, ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনামসহ অন্যরা।এদিকে রবীন্দ্র নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আগামীকাল রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের কনাফরেন্স কক্ষে রবীন্দ্র ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা করা হবে। এরপর সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রবন্ধ উপস্থাপন। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, শুভেচ্ছা বক্তব্য দিবেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য মো. তুহিনুর রহমান। সঞ্চালনা করবেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দুই দিনের কার্যসূচী সমাপ্ত হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছপদ্ধতিতে সি-ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে

 জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছপদ্ধতিতে সি-ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের সমাপ্তি হয়েছে। ২০ আগস্ট শনিবার দুপুর ১২-১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১,৫০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৯৩ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার প্রায় ৯৪ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোট ২৫ টি কক্ষে সি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমাদের যারা এই পরীক্ষা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা দিন রাত পরিশ্রম করে এটি আয়োজন করেছেন।
তিনি  আরোও বলেন, প্রতিটি কক্ষে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির মাত্রা ছিল লক্ষণীয়। তাদের এই উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে লেখা পড়ার প্রতি ছাত্রসমাজের অনেক আগ্রহ। লেখাপড়া করে তারা তাদের ভবিষ্যৎকে গড়তে অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।এছাড়াও এ সময়  সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল হালিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা, এতিমখানায় খাবার পরিবেশনসহ নানা কর্মসূচি।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপরে শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’-এ গিয়ে শেষ হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেনসহ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অন্যরা।

শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন (গ্রেড ১৭-২০), বিভিন্ন বিভাগ, হল প্রশাসন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, আইকিউএসি, পরিবহন পুল, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক অভিঘাত বাঙালিদের জন্য ছিল খুবই বেদনাদায়ক। ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে রাতারাতি বাইরে আসে ষড়যন্ত্রকারীরা। সত্তরের দশকের ৫ বছর আর পুরো আশির দশক চলে মিথ্যার বেসাতি। জিয়াউর রহমান, বিচারপতি আবদুস সাত্তার, এইচ এম এরশাদ সবাই মূলত একই রাজনীতির ধারা প্রবাহিত করে গেছেন এবং সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নের একেবারে বিপরীত ধারা। ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী ১৫ বছর ছিল বঙ্গবন্ধুর লালিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও আদর্শ ধ্বংসের জন্য তাদের যুগপৎ প্রত্যক্ষ চেষ্টা।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের উদ্যোগে, হল প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিনের সভাপতিত্বে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী  উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর জীবন তো আমরা অনুসরণ করবো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে যে মানুষটি নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সেই বঙ্গমাতার জীবন দর্শন, আদর্শও আমাদের সকলের অনুসরণ করতে হবে, পালন করতে হবে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ছায়া ছিলেন। তাঁর কারণেই বঙ্গবন্ধু ‘বঙ্গবন্ধু’ হতে পেরেছিলেন। এটি আমাদের স্মরণ করতে হবে। আমাদের নারীদের আজকে সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।”

বঙ্গমাতার জীবন দর্শন তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য আরো বলেন, “অত্যন্ত অল্প বয়সে বঙ্গমাতার বিয়ে হয়েছিল। তৎকালীন সামাজিক পরিবেশে এটি অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরেই একজন নারীর জীবন শেষ-এই কথা বঙ্গমাতা কখনো মনে করেন নি। বিয়ে একজন নারীর জীবনে অন্তিম চাওয়া এখনো আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষের মনে এই মানসিক ধারণা হয়ে আছে। এই ধারণা ভাঙ্গা দরকার। বঙ্গমাতার জীবন থেকে এই আদর্শটি প্রথমে আমরা আমাদের নারীদের নিতে বলবো। সংসার ধর্ম পালন করেও দেশের জন্য অনেক কিছু করা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সারা বাংলাদেশে যে পরিমান স্থাপনার নামকরণ হওয়ার কথা ছিল তেমনটা হয় নি। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের দুটি হলের একটি এমনকি সবচেয়ে বড় ছাত্রী হলটির নাম এই মহিয়সী নারীর নামে করা হয়েছে। সেজন্য আমরা সকলেই গর্ব করতে পারি। এই হলের যারা ছাত্রী উঠেছে, যারা প্রথম উঠেছে তাদের জন্য এটি আরও বেশি গর্বের। এই হলকে নিজের বাড়ি মনে করে হলের পরিবেশ এখানকার ছাত্রীদেরকেই ঠিক করতে হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য হল প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন ও একটি বৃক্ষরোপণ করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে (০৪ আগস্ট  ২০২২) বৃহস্পতিবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও আসাম ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর (ড) নারায়ণ চন্দ্র তালুকদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভাইস-চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. মৃন্ময় বসাক, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.আহমেদুল বারী, ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আসামে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জনাব তানভির মনসুর রনি এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আসাম থেকে ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ ৪ঠা আগস্ট দুপুরে এসে পৌঁছান।  এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, তরুণ গ্রাজুয়েটদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, এম.ফিল ও পি-এইচ.ডি. গবেষণার ক্ষেত্রে যৌথভাবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা গবেষক তত্ত্বাবধায়ক হওয়া, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদানসহ নানা সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীগণ যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং পরস্পরের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবেন। ভবিষ্যতে দেশের বাইরে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও প্রাসঙ্গিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।উপাচার্য প্রফেসর (ড) নারায়ণ চন্দ্র তালুকদার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বলেন, এতে তার বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিকভাবে লাভবান হবে।

GST Admission Test 2021-22 (A-Unit)

আজ ৩০-০৭-২০২২ ইং তারিখ শনিবার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছপদ্ধতিতে এ-ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২- থেকে ১ টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোট ১৩৭ টি কক্ষে এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় ভিজিল্যান্স উপ কমিটির সদস্য সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শেখ মো: সুজন আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল হালিম, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মোঃ জোবায়ের হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র ছাত্রী, ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন,স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, সাংবাদিকবৃন্দ সবাইকে ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত আনন্দমুখর হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।