জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jatiya Kabi Kazi Nazrul Islam University

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪ পালিত

Published: 15-12-2024 Updated: 15-12-2024 12:25:05

latest news
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪পালিত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ শনিবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধ্বনমিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা।
এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ হতে চির উন্নত মম শির এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর অনুষদীয় ডিন ও শিক্ষক সমিতির পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মাননীয় উপাচার্য তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ কাল রাত থেকেই অপারেশন সার্চ লাইট থেকেই বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরি ও হত্যা করা শুরু হয়। ১৯৭১ সনের ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কারফিউ জারি করা হয় এবং ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’ প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে মেধা ও নেতৃত্ব শূণ্য করতেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে এবং কখনও যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যেই তারা এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়।’ আজকের এই দিন একদিকে শোকাবহ এবং অপরদিকে অনুপ্রেরণার উল্লেখ করে মাননীয় উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আমরা শহীদদের আত্মত্যাগকে সার্থক করে তুলতে পারবো।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এইচ এম কামাল ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার । আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট হাবিবা সুলতানা, অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, দোলন-চাঁপা হলের প্রভোস্ট লাইলী আক্তারসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।